📌নেপোলিয়ন বোনাপার্ট কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? তার পিতা মাতর নাম কি?
👉নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের শাসনাধীন কর্ষিকা দ্বীপের আজাকচিও শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কার্লো বোনাপার্ট ও মাতার নাম লেটিজিয়া বোনাপার্ট।
📌নেপোলিয়ন কিভাবে ক্ষমতা দখল করেন?
👉 ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে নেপোলিয়ন ইতালি অভিযান থেকে দেশে ফিরে আসেন। ডাইরেক্টর অ্যাবে সিয়েসের সাহায্যে অনুগত্য সৈন্যবাহিনী নিয়ে তিনি ঐ বছরের ৯ই নভেম্বর আইন সভা আক্রমণ করেন এবং ডাইরেক্টরির শাসন উচ্ছেদ করে ফ্রান্সের শাসন ক্ষমতা দখল করেন।
📌 ১৮ ব্রুমেয়ার ফ্রান্সের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ কেন?
👉১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দের আঠারো ব্রুমেয়ার বা ৯ নভেম্বর তারিখে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট সেনাবাহিনীর সাহায্যে ফ্রান্স থেকে ডাইরেক্টরির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। ফ্রান্সের ইতিহাসে শুরু হয় নেপোলিয়নের যুগ। তাই ১৮ ব্রুমেয়ার তারিখটি ফ্রান্সের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ।
📌নেপোলিয়নের যুগ বলতে কী বোঝায়?
👉১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর নেপোলিয়ন ফ্রান্স থেকে ডাইরেক্টরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ফ্রান্স দখল করেন এবং ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অপ্রতিহত কর্তৃত্ব নিয়ে ফ্রান্স শাসন করেন। গোটা ইউরোপও এই সময় কার্যত তার প্রভাবাধীন ছিল। তাই ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কাল নেপোলিয়নের যুগ নামে অভিহিত করা হয়।
📌কনসালেট বা কনসালের শাসনব্যবস্থা কি?
👉১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ফ্রান্সে ডাইরেক্টরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে শাসন ক্ষমতা দখল করেন এবং কনসালেট নামে নতুন এক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তিনজন কনসালের হাতে শাসনভার অর্পিত হয়। নেপোলিয়ন হলে প্রথম ও প্রধান কনসাল। তাই এই শাসনব্যবস্থা কনসালেট নামে পরিচিত।
📌নেপোলিয়ন বোনাপার্ট কবে ফ্রান্সের শাসন ক্ষমতা দখল করেন ও কবে তিনি ফ্রান্সের সম্রাট হন?
👉নেপোলিয়ন ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের শাসন ক্ষমতা দখল করেন এবং ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ফরাসি জাতি সম্রাট উপাধি গ্রহণ করে ফ্রান্সের সম্রাট হন।
📌নেপোলিয়নের উত্থান তথা সাফল্যের প্রধান কারণ গুলি কি ছিল?
👉১) বিপ্লব জনিত দীর্ঘ অরাজক ও রক্তাক্ত অবস্থা, অর্থনৈতিক সংকট প্রভৃতি কারণে ফরাসি জাতির মধ্যে বিপ্লব সম্পর্কে হতাশা।
২) ডাইরেক্টরের দুর্নীতিগ্রস্ত শাসন।
৩) ইতালি, অস্ট্রিয়া ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেপোলিয়নের সাফল্য ও প্রবল জনপ্রিয়তা।
৪) তার ব্যক্তিগত গুণাবলী ও বাকচাতুর্য, ব্যক্তিত্ব এবং
৫) সেনাবাহিনীর উপর তার কর্তৃত্ব।
📌নেপোলিয়নের আভ্যন্তরীণ সংস্কারের উদ্দেশ্য কি ছিল?
👉 নেপোলিয়নের অভ্যন্তরীণ সংস্কার নীতির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল - এক) বিপ্লব জনিত অরাজক অবস্থা দূর করে ফ্রান্সে একটি দৃঢ়, কার্যকর শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন।
দুই) ফ্রান্সের জনসাধারণের কল্যাণ সাধন এবং
তিন) সংস্কারের দ্বারা নিজ খ্যাতি ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করা।
📌কনসাল হিসাবে নেপোলিয়নের অর্থনৈতিক সংস্কারের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
👉বৈশিষ্ট্য গুলি হল - ১) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ব্যাঙ্ক অফ ফ্রান্স প্রতিষ্ঠা ( ঋণদান ও মুদ্রা ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্ব এই ব্যাংকের উপর অর্পিত হয়)
২) লবণ ও সুরার ওপর পরোক্ষ কর আরোপ।
৩) চেম্বার অফ কমার্সের পুনর্গঠন।
৪) সরকারি আয়-ব্যয় পরীক্ষার ব্যবস্থা।
৫) রাজস্ব আদায়ের জন্য সরকারি কর্মচারী নিয়োগ।
৬) শিল্প সংরক্ষণ নীতি গ্রহণ ইত্যাদি। তার অর্থমন্ত্রী ছিলেন গঁদা।
📌লাইসি (Lycee) কী?
👉লাইসি ছিল এক ধরনের সামরিক আবাসিক মডেল স্কুল। নেপোলিয়ন অল্প সংখ্যক ছাত্রদের বেসামরিক শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে সামরিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য এই ধরনের ৪৫ টি মডেল স্কুল সারাদেশে স্থাপন করেছিলেন।
[১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ফ্রান্সে ইউনিভার্সিটি অফ ফ্রান্স প্রতিষ্ঠা করেন।]
📌কনকরড্যাট বা ধর্ম মীমাংসা চুক্তি কি?
👉ফ্রান্সে ধর্মীয় বিভেদ দূর করার জন্য নেপোলিয়ন ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে পোপ সপ্তম পায়াসের সঙ্গে একটি ধর্ম মীমাংসা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এটি কনকরড্যাট নামে খ্যাত। এতে- ১)পোপ গির্জার জাতীয়করণ মেনে নেন।
২) পোপ যাজক নিয়োগে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দানের অধিকার পান।
এবং ৩) যাজকরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে বেতন পাবেন বলে স্থির হয়।
📌১৮০১ খ্রিষ্টাব্দের কনকরড্যাট এর গুরুত্ব কি?
👉১৮০১ খ্রিস্টাব্দের কনকর্ডনেট বা পপির সঙ্গে ধর্ম মীমাংসার ফলে ১) ফ্রান্সে ধর্মীয় ক্ষেত্রে দীর্ঘ বিরোধের অবসান ঘটে।
২) ফরাসি গির্জা রাষ্ট্রের একটি বিভাগে পরিণত হয় এবং
৩) নেপোলিয়ন ক্যাথলিক সমাজের সমর্থন লাভে সমর্থ্য হন।
🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶
Post a Comment