Shuvajoy Roy
M.A/B.Ed/Net/Set
Department of History & Culture
YouTube : The History Exploring
বিজয়নগর সাম্রাজ্য
(The Vijaynagar Empire)
১। বিজয়নগর রাজ্য কে, কোথায়, কবে প্রতিষ্ঠা করেন?
উঃ সঙ্গম নামে এক ব্যক্তির দুই পুত্র হরিহর ও বুক ১৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে দাক্ষিণাত্যে তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে বিজয়নগর রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। পিতা সঙ্গমের নামে এই বংশের নাম হয় সঙ্গম বংশ। হরিহর ছিলেন এই বংশের প্রথম রাজা।
২। বিজয়নগরে যেসব রাজবংশ রাজত্ব করেছিল কালানুক্রম অনুযায়ী তাদের নাম ও তাদের প্রতিষ্ঠাতাদের নাম লেখো।
উঃ (১) সঙ্গম বংশ (১৩৩৬-১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দ) প্রতিষ্ঠাতা হরিহর ও বুক্ক: (২) সালুভ বংশ (১৪৮৬-১৫০৫ খ্রিস্টাব্দ) প্রতিষ্ঠাতা নরসিংহ সালুভ; (৩) তুলুভ বংশ (১৫০৫- ৭০ খ্রিস্টাব্দ)-প্রতিষ্ঠাতা বীর নরসিংহ; (৪) অরবিডু বংশ (১৫৭০-১৬৭২ খ্রিস্টাব্দ) প্রতিষ্ঠাতা তিরুমল।
৩। 'ক' বিভাগে উল্লিখিত রাজাদের সঙ্গে 'খ' বিভাগে উল্লিখিত রাজবংশগুলির সামঞ্জস্য বিধান করো: 'ক' বিভাগ-বীর নরসিংহ, দ্বিতীয় দেবরায়, তিরুমল, নরসিংহ বা নরসীমা; 'খ' বিভাগ-অরবিডু, সালুভ, সঙ্গম ও তুলুভ।
উঃ' ক' বিভাগ 'খ' বিভাগ
বীর নরসিংহ - তুলুভ
দ্বিতীয় দেবরায় - সঙ্গম
তিরুমল - অরবিডু
নরসিংহ বা নরসীমা - সালুভ
৪। বিজয়নগর রাজ্যের সঙ্গে বাহমনি রাজ্যের দ্বন্দ্বের প্রধান কারণ কী?
উঃ বিজয়নগর-বাহমনি দ্বন্দ্বের প্রধান কারণ তিনটি:
(১) দাক্ষিণাত্যে রাজনৈতিক প্রাধান্য অর্জন:
(২) হিন্দু বিজয়নগর ও মুসলমান বাহমনি রাজ্যের মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ; এবং
(৩) কৃষ্ণা ও তুঙ্গভদ্রা নদীর মধ্যবর্তী উর্বর রায়চুর দোয়াব দখলের প্রচেষ্টা।
৫। বিজয়নগর রাজ্যের সঙ্গে বাহমনি রাজ্যের দ্বন্দ্বের অর্থনৈতিক কারণ কী ছিল?
উঃ বিজয়নগর-বাহমনি দ্বন্দ্বের অর্থনৈতিক কারণের তিনটি ক্ষেত্র হল:
(১) কৃষ্ণা ও তুঙ্গভদ্রা নদীর মধ্যবর্তী উর্বর রায়চুর দোয়াবের অধিকার;
(২) কৃষ্ণা-গোদাবরী উপকূল অঞ্চলে সমৃদ্ধ বাণিজ্যের ওপর আধিপত্য স্থাপন; এবং
(৩) কোঙ্কন উপকূল ও সমৃদ্ধ গোয়া বন্দরের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা।
৬। বিজয়নগরের শ্রেষ্ঠ রাজা কে? তিনি কোন বংশের লোক?
উঃ বিজয়নগর রাজ্যের শ্রেষ্ঠ রাজা হলেন কৃষ্ণদেব রায় (১৫০৯-১৫৩০)। তিনি তুলুভ বংশের লোক ছিলেন।
৭। কৃষ্ণদেব রায়ের রাজ্যসীমা কতদূর বিস্তৃত ছিল?
উঃ কৃষ্ণদেব রায়ের সময় বিজয়নগর রাজ্য শক্তি সমৃদ্ধির চরম সীমায় পৌঁছেছিল। তাঁর সাম্রাজ্য উত্তরে কৃষ্ণা-তুঙ্গভদ্রা নদীর মধ্যবর্তী রায়চুর দোয়াব থেকে দক্ষিণে সমুদ্র উপকূল এবং পূর্ব উপকূলে তেলেঙ্গানা ও রাজামুন্দ্রি থেকে পশ্চিমে কোঙ্কন উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
৮। রাজা কৃষ্ণদেব রায়ের সঙ্গে পোর্তুগিজদের সম্পর্ক কেমন ছিল?
উঃ পশ্চিম উপকূলের পোর্তুগিজ বণিকদের সঙ্গে রাজা কৃষ্ণদেব রায়ের সুসম্পর্ক ছিল। তিনি তাদের কাছ থেকে যুদ্ধের ঘোড়া কিনতেন। বিনিময়ে তিনি পোর্তুগিজ শাসক আলবুকার্ককে ভাটকলে দুর্গ নির্মাণের অধিকার দেন। পোর্তুগিজরা বিজাপুরের কাছ থেকে গোয়া দখল করলে কৃষ্ণদেব তা সমর্থন করেন। তবে ভারতে মূল ভূখণ্ডে পোর্তুগিজদের অনুপ্রবেশের তিনি বিরোধী ছিলেন।
৯। আলফানসো আলবুকার্ক কে ছিলেন?
উঃ আলফানসো আলবুকার্ক ছিলেন ভারতের পশ্চিম উপকূলে পোর্তুগিজ উপনিবেশের দ্বিতীয় গভর্নর (প্রথম গভর্নর ফ্রানসিস্কো আলমিদো, ১৫০৫-১৫০৯)। ষোল শতকের প্রথম দিকে (১৫০৯ খ্রিস্টাব্দ) তিনি ভারতে আসেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল প্রাচ্যে একটি স্থায়ী পোর্তুগিজ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য গঠন করা। সামরিক শক্তির জোরে তিনি গোয়া, মালাক্কা, অরমুজ ইত্যাদি দখল করে একটি পোর্তুগিজ সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। গোয়া ছিল পোর্তুগিজদের প্রধান সামরিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। বিজয়নগরের রাজা কৃষ্ণদেব রায়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল।
১০। 'অষ্ট-দিগজ' কাদের বলা হয়?
উঃ কৃষ্ণদেব রায় জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। তাঁর রাজসভায় বিখ্যাত তেলেও কবি পোড্ডান সহ আটজন গুণী ব্যক্তির সমাবেশ হয়েছিল। এঁদের একত্রে 'অষ্ট-দিগজ' বলা হয়।
১১। 'অন্ধ্র কবিতা পিতামহ' কাকে বলা হয়? তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উঃ বিখ্যাত তেলেগু কবি পোড্ডানকে 'অন্ধ্র কবিতা পিতামহ' বলা হয়। তিনি ছিলেন রাজা কৃষ্ণদেব রায়ের সভাকবি। পোড্ডানের একটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল মনুচরিতম। (তোল১৫৫৭)
১২। রাজা কৃষ্ণদেব রায়ের বিদ্যোৎসাহিতার পরিচয় দাও।
উঃ কৃষ্ণদেব রায় ছিলেন বিদ্যোৎসাহী ও সংস্কৃতিমনস্ক রাজা। তিনি জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। তাঁর রাজসভায় বিখ্যাত তেলেগু কবি পোড্ডান সহ আটজন গুণী ব্যক্তির সমাবেশ হয়েছিল। এঁদের একত্রে 'অষ্ট-দিগজ' বলা হয়। কৃষ্ণদের নিজেও সুপণ্ডিত ছিলেন। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ আমুক্তমালাদা (তেলেগু সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ)।
১৩। কে. কবে বাহমনি রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন? এই রাজ্যের নাম 'বাহমনি' হল কেন?
উঃ হাসান গঙ্গু নামে জনৈক মুসলমান ১৩৪৭ খ্রিস্টাব্দে দাক্ষিণাত্যে বাহমনি রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।
হাসান গঙ্গু আলাউদ্দিন বাহমন শাহ নাম নিয়ে সিংহাসনে বসেন। তাঁর বাহমন শাহ নাম থেকেই এই রাজ্যের নাম হয় 'বাহমনি'।
১৪। মামুদ গাওয়ান কে ছিলেন?
উঃ মামুদ গাওয়ান ছিলেন সুলতান তৃতীয় মহম্মদ শাহের আমলে বাহমনি রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী (১৪৬৬-১৪৮১)। তিনি ছিলেন দক্ষ প্রশাসক ও সমরনায়ক। তাঁর আমলে বাহমনি রাজ্য ক্ষমতা ও গৌরবের চরম শিখরে পৌঁছেছিল। বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে সুলতান মামুদ গাওয়ানকে ১৪৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রাণদণ্ড দেন। গাওয়ানের মৃত্যুর পর বাহমনি সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে থাকে।
১৫। পঞ্চদশ শতকের শেষদিকে বাহমনি রাজ্য ক'টি আঞ্চলিক রাজ্যে বিভক্ত হয়ে যায় ও কী কী?
উঃ বাহমনি রাজ্য পাঁচটি আঞ্চলিক রাজ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। এগুলি হল: (১) বিজাপুর, (২) গোলকুন্ডা, (৩) আহম্মদনগর, (৪) বেরার ও (৫) বিদর।
১৬। বিজয়নগর সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক বিভাগগুলি কী ছিল?
উঃ বিজয়নগর সাম্রাজ্য কয়েকটি প্রদেশ বা 'মণ্ডলম্'-এ বিভক্ত ছিল। প্রদেশের শাসনকর্তাকে বলা হয় 'নায়ক' বা 'নায়েক'। প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি জেলা বা নাড়ু-তে, প্রতিটি নাড়ু আবার মহকুমা বা 'স্থল'-এ বিভক্ত ছিল। শাসনব্যবস্থার সর্বনিম্ন একক ছিল গ্রাম।
১৭। 'নায়ক' বা 'নায়ঙ্কারা প্রথা কী?
উঃ বিজয়নগর সাম্রাজ্যে প্রদেশ শাসনের দায়িত্বে ছিলেন 'নায়ক'। তাঁরা প্রদেশের সামরিক, অসামরিক, বিচার ও শাসন বিভাগের সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী ছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে রাজার হয়ে তাঁরাই সৈন্য পরিচালনা করতেন। স্বাধীন রাজার মতোই তারা আমলা নিয়োগ, নতুন কর প্রবর্তন, পুরানো কর প্রত্যাহার করতে পারতেন। অবশ্য রাজদ্রোহ বা অযোগ্যতার কারণে রাজা তাঁদের পদচ্যুত করতে পারতেন। 'নায়ক' দ্বারা পরিচালিত এই প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা 'নায়ক' প্রথা বা 'নায়ঙ্কারা' নামে পরিচিত।
(১৮) বিজয়নগর রাজ্যে কাদের 'পলিগার' বা 'অমরনায়ক' বলা হত?
উঃ বিজয়নগর রাজ্যে কিছু সামরিক নেতা, প্রশাসক, পরাজিত ছোটো ছোটো রাজা এবং অভিজাত বংশীয় ব্যক্তিকে 'অমরম্' বা নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব প্রদান এবং প্রয়োজনে রাজাকে সামরিক সাহায্য দানের শর্তে বড়ো বড়ো ভূখণ্ড দেওয়া হত। এই ভূস্বামীদের 'পলিগার' বা 'অমরনায়ক' বলা হত।
১৯। 'আয়গার' বা ‘আয়েঙ্গার’ ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?
উঃ বিজয়নগরের শাসনব্যবস্থায় গ্রাম ছিল একটি পৃথক ও প্রায়-স্বাধীন একক। (১২ জন দ্বারা নিযুক্ত গ্রাম পরিচালনার এক প্রশাসন) রাজা প্রতিটি গ্রামে ১২ জন করে আয়গার নিযুক্ত করতেন এবং এরা বেতন বাবদ ভূমি লাভ করতেন। আয়গার পদ ও ভূমিস্বত্ব ছিল বংশানুক্রমিক। গ্রামীণ স্তরের এই শাসনব্যবস্থা 'আয়গার ব্যবস্থা নামে পরিচিত।
২০। বিজয়নগরে আগত কয়েকজন বিদেশি পর্যটকের নাম লেখো।
উঃ বিজয়নগরে আগত বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন-
ইতালীয় পর্যটক- নিকোলো কন্টি (প্রথমদেব রায়)
পারসিক দূত- আবদুর রজ্জাক (দ্বিতীয়দেব রায়) এবং
পোর্তুগিজ পর্যটক- এডোয়ার্ড বারবোসা (কৃষ্ণদেব রায়) ও পায়েজ (কৃষ্ণদেব রায়), ন্যুনিজ (অচ্যুত রায়)
২১। বিজয়নগরের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উঃ বিজয়নগরের আর্থিক সমৃদ্ধির অন্যতম প্রধান উৎস ছিল বৈদেশিক বাণিজ্য। পারসিক পর্যটক আবদুল রাজ্জাক বিজয়নগর সাম্রাজ্যের ৩০০টি বন্দরের কথা বলেছেন। পশ্চিম উপকূলের কালিকট ছিল প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। ব্রহ্মদেশ, মালয়, লাক্ষাদ্বীপ, মালদ্বীপ, চীন, পারস্য ও আরব দেশগুলির সঙ্গে বিজয়নগরের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। রপ্তানি দ্রব্যের মধ্যে ছিল বস্ত্র, চাল, লোহা, সোরা, মশলা ইত্যাদি এবং আমদানি দ্রব্যের মধ্যে ছিল তামা, মণিমুক্তা, চীনা রেশম, ভেলভেট, প্রবাল, আরবি ঘোড়া ইত্যাদি।
২২। বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অর্থনীতিতে 'গিল্ড' বা 'নিগম'-এর কী ভূমিকা ছিল?
উঃ বিজয়নগরের শিল্প ও বাণিজ্যে 'গিল্ড' বা 'নিগম' বা বণিক সংঘের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বিভিন্ন শিল্পী ও বণিকদের পৃথক পৃথক গিল্ড ছিল। এর ফলে একই ধরনের শিল্প বা বাণিজ্যের localization অর্থাৎ শহরের নির্দিষ্ট স্থানে গড়ে ওঠার প্রবণতা ছিল। গিল্ড দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করত।
২৩। তালিকোটার যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল? তখন বিজয়নগরের শাসক কে ছিলেন?
উঃ তালিকোটার যুদ্ধ হয়েছিল ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে। তালিকোটার যুদ্ধ বিজয়নগর রাজ্যের সঙ্গে বিজাপুর, আহম্মদনগর, গোলকুন্ডা ও বিদর-এই চারটি বাহমনি রাজ্যের সম্মিলিত শক্তির মধ্যে হয়েছিল। বেরার এই যুদ্ধে অংশ নেয়নি। (তখন বিজয়নগরের রাজা ছিলেন সদাশিব রায়)।
২৪। তালিকোটার যুদ্ধের (১৫৬৫) তাৎপর্য কী ছিল?
উঃ তালিকোটার যুদ্ধে (১) বিজয়নগর পরাজিত হয় এবং রাজধানী বিজয়নগর প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়; (২) বিজয়নগর সাম্রাজ্য দ্রুত পতনের দিকে এগিয়ে যায় এবং অর্ধ শতাব্দীর মধ্যেই তা কয়েকটি খণ্ড খণ্ড রাজ্যে বিভক্ত হয়ে যায়; এবং (৩) দাক্ষিণাত্যে হিন্দু প্রাধান্য স্থাপনের স্বপ্ন বিনষ্ট হয়।
২৫। ভারতের সামুদ্রিক ইতিহাসে ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দের গুরুত্ব কী?
উঃ ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে পোর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-ডা-গামা উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ভারতের পশ্চিম উপকূলের কালিকট বন্দরে উপস্থিত হন। এই ঘটনা ভারত ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
(১) ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কৃত হওয়ায় ভারত ও ইউরোপের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরি হয় এবং
(২) এই পথ ধরেই পরবর্তীকালে ওলন্দাজ, দিনেমার, ইংরেজ, ফরাসি প্রভৃতি ইউরোপীয় জাতি ভারতে বাণিজ্য করতে আসে এবং কালক্রমে ভারতে ইংরেজদের ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে।
আনেগুন্দি ছিল বিজয়নগর সাম্রাজ্যের প্রথম রাজধানী।
হাম্পি, পেনুকন্ডা এবং চন্দ্রগিরি বিজয়নগরের অন্যান্য রাজধানী ছিল।
বর্তমানে কর্ণাটক রাজ্যের হাম্পি একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।
বিজয়নগর রাজ্যের রাজধানী ছিল হাম্পি।
এটি চতুর্দশ শতকে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসাবে পরিচিত ছিল।
উত্তর কর্নাটকে অবস্থিত একটি শহর হল হাম্পি।
হাম্পি হল হিন্দু ও জৈন ধর্মের একটি বিখ্যাত তীর্থক্ষেত্র।
এই শহরটি তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে অবস্থিত।
1500 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বেজিংয়ের পরে হাম্পি-বিজয়নগরকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মধ্যযুগীয় শহর হিসাবে বিবেচনা করা হত।
হাম্পির স্মৃতিসৌধগুলিকে ইউনেসকো'র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে 1986 সালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
এখানে প্রায় 1,600 স্মৃতিসৌধ রয়েছে।
💠💠💠💠💠
Post a Comment