দশম শ্রেণী 

ইতিহাস

 The History Exploring 

 ইংলিশ বাজার, মালদা।


১) কবে, কেন নেহেরু-লিয়াকৎ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?


ভারত এবং পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও উদ্বাস্তু সমস্যা জটিল আকার ধারণ করলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকৎ আলীর মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে1950 খ্রিস্টাব্দের 8 ই এপ্রিল নেহেরু- লিয়াকৎ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দান করা।


২) ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কেন?


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন প্রাণের যোগ ছিল না, এটি ছিল সম্পূর্ণ যান্ত্রিক। তাই সুস্থ সবল জাতি গড়ে তোলার পক্ষে এটি ছিল সম্পূর্ণ অনুপযোগী।  এই শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের মুক্তচিন্তার বিকাশএর  অভাব ছিল। ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয় নজর দেয়া হয়নি।  এই সমস্ত কারণের জন্য বলা হয় উপনিবেশিক শিক্ষা ছিল ত্রুটিপূর্ণ।

 

৩) কে, কবে, কেন ওয়ার্কার্স অ্যান্ড প্রেজেন্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন?


কাজি নজরুল ইসলাম, হেমন্ত কুমার সরকার, কুতুবউদ্দিন আহমেদ, সামসুদ্দিন হ্রসেন প্রমুখের উদ্যোগে শ্রমিকদের কাজের সময়সীমা কমানো, সর্বনিম্ন মজুরির হার নির্ধারণ,জমিদারি প্রথার উচ্ছেদ প্রভৃতির জন্য,1928 খ্রিস্টাব্দে অল ইন্ডিয়া ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক হন আর এস নিম্বকার।


৪) চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব লেখ।


মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রাজা জগন্নাথ সিং, রানী শিরোমনি প্রমুখের নেতৃত্বে ১৭৬৮-৬৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭৯৮-৯৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ত্রিশ বছর ধরে দুটি পর্বে চুয়ার বিদ্রোহ হয়েছিল। এর প্রধান গুরুত্ব হল-

i)জঙ্গলমহল নামে একটি পৃথক জেলা গঠন করা হয়।

ii)জমিদার ও চুয়াড় কৃষকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ব্রিটিশ-বিরোধী বিদ্রোহে শামিল হয়।


৫) ব্যঙ্গচিত্র আঁকা হয় কেন?


ব্যঙ্গচিত্র হলো চিত্রকলার একটি বিশেষ অঙ্গ। প্রচলিত সমাজ, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতিকে প্রকাশ করার জন্য ব্যঙ্গচিত্র আঁকা হয়। গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্লেখযোগ্য ব্যঙ্গচিত্র হলো 'খল ব্রাহ্মণ'।


৬) দৃশ্যশিল্পের ইতিহাস কি?


দৃশ্যশিল্পের (ছবি আঁকা, ফোটোগ্রাফি) ইতিহাসের লিখিত উপাদানগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে রচিত হয় না। সেরকম উপাদান সরবরাহ করতে পারে একমাত্র আঁকা ছবি এবং ফোটোগ্রাফ। ছবি ও ফোটোগ্রাফি সাধারণভাবে রক্ষণশীলতা বা প্রগতিশীলতার পরোয়া করে না, যা ঘটছে তার দৃশ্যরূপ কোনোরকম অস্পষ্টতা ছাড়াই ফুটিয়ে তোলে। এজন্য আধুনিক ইতিহাসচর্চায় দৃশ্যশিল্পের ইতিহাস বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।


৭) ইন্সট্রুমেন্ট অফ অ্যাক্সেশন কি?


ইন্সট্রুমেন্ট অফ অ্যাক্সেশন হল ভারতভুক্তির দলিল। ১৯৪৭ সালে এই দলিলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে ভারতীয় দেশীয় রাজ্যগুলোকে ভারত ইউনিয়নের যুক্ত করা হয়েছিল। এইভাবে 216 টি দেশীয় রাজ্য পার্শ্ববর্তী প্রদেশে যুক্ত হয় ও 275 টি রাজ্য মিলে 5 টি পৃথক প্রদেশ ও 61 টি রাজ্যকে 7 টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাথে যুক্ত করা হয় । এর প্রধান হোতা ছিলেন বল্লভ ভাই প্যাটেল ও তার সচিব ভি.পি. মেনন।


৮) কোন সময়কে, কেন ভারতের পুনর্বাসনের যুগ বলা হয়?


ভারতের স্বাধীনতার পরবর্তী প্রথম পাঁচবছর  অর্থাৎ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত উদ্বাস্তু শরণার্থী দের ভারতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাই এই সময় কালকে ভারতের পুনর্বাসনের যুগ' বলা হয়।


৯) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?


১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে ৮ই ডিসেম্বর টাকির জমিদার কালীনাথ রায় চৌধুরী, প্রসন্ন কুমার ঠাকুর প্রমুখের  উদ্যোগে বাংলা ভাষা প্রকাশিকা সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল - i) বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনুশীলন করা এবং তার স্বার্থ বজায় রাখা।

ii)দেশের পক্ষে হিতকর বিষয়গুলিকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা। 

iii) সরকারি নীতি ও কাজ কর্মের সমালোচনা করা।



__________🌿___________

Post a Comment

Previous Post Next Post