https://thehistoryexploring.blogspot.com/
 ডিরোজিও


➤ ডিরোজিওর বাবা ফ্রান্সিস ছিলেন পর্তুগিজ বংশোদ্ভূত এবং মা সোফিয়া ছিলেন ব্রিটিশ রমণী।

➤ ডিরোজিও জন্ম গ্রহণ করেন ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে ১৮ ই এপ্রিল। 

➤ ডিরোজিওর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কলকাতার ধর্ম তলায় প্রতিষ্ঠিত স্কটিশ শিক্ষাবিদ ড্রামন্ডের ধর্মতলা একাডেমী তে।

➤ ডিরোজিওর যুক্তিবাদী দর্শনের মূল ভিত্তি ছিল টমাস পেইন এর এজ অফ রিজন গ্রন্থ।

➤ ১৮২৬/২৭/২৮ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ডিরোজিও হিন্দু কলেজে ইংরেজি ও ইতিহাসের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।

➤ মিল, বেন্থাম, রুশো, ভলতেয়ার, মন্তেস্কু, টমাস পেইন, দান্তে, জিওপে চসার প্রমূখ মনীষী ডিরোজিও ও তার অনুগামীদের প্রভাবিত করেছিল।

➤ ডিরোজিও ছিলেন আধুনিক ভারতবর্ষের প্রথম জাতীয়তাবাদী কবি তাঁর রচিত ফকির অব ঝাঙ্গিরা ও আমার স্বদেশের প্রতি নামক কবিতা দুটিতে তার স্বদেশপ্রেমের পরিচয় মেলে।

➤ ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত একটি প্রবন্ধ-এ সর্বপ্রথম নব্যবঙ্গ নামটি ব্যবহার করেন।

➤ যোগেশচন্দ্র বাগলে ইয়ং বেঙ্গল বঙ্গানুবাদ করেছেন নব্য বঙ্গ।

➤  ডিরোজিও এর অনুগামীদের বলা হয় ডিরোজিয়ান।

https://thehistoryexploring.blogspot.com/


➤ ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠী এর সদস্যরা হলেন - রামতনু লাহিড়ী, রসিক কৃষ্ণ মল্লিক, কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, রামগোপাল ঘোষ, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, প্যারীচাঁদ মিত্র, লালবিহারী দে, মাধব চন্দ্র মল্লিক, রাধানাথ শিকদার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রমুখ।

➤ নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য প্যারীচাঁদ মিত্র এই গোষ্ঠীকে ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে 'ইয়ং ক্যালকাটা' নাম দেন।

➤ ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে ডিরোজিও অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। অনেকের মতে এটি ছিল ভারতের প্রথম ছাত্র সংগঠন। এথেনিয়াম ছিল এই সংঘের মুখপাত্র।

➤ ডিরোজিও ছিলেন অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন এর প্রথম সভাপতি ও তার ছাত্র উমেশ চন্দ্র বসু ছিলেন এর সম্পাদক।

➤ গিবন ও রবার্টসনের ইতিহাস ও অ্যাডাম স্মিথ এর অর্থনীতি ছিল ইয়ং বেঙ্গল এর প্রিয়পাঠ্য।

➤ নব্যবঙ্গ দলের মুখপত্র পার্থেনন ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

➤ ডিরোজিও সম্পাদিত কয়েকটি পত্রিকার নাম- হেসপেরাস, ক্যালকাটা লিটারারি গেজেট, ক্যালকাটা ম্যাগাজিন, ইন্ডিয়ান ম্যাগাজিন, বেঙ্গল অ্যানুয়াল, ক্যালাইডোস্কোপ, এনকোয়ারার, জ্ঞানান্বেষণ প্রভৃতি।

➤ ডিরোজিওর অনুগামীরা বেঙ্গল স্পেক্টেটর ও হিন্দু পাইওনিয়ার নামক পত্রিকা প্রকাশ করেন।

➤ নব্য বঙ্গীয় রা ফ্রান্সের ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে ২৫ শে ডিসেম্বর জুলাই বিপ্লবের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে কলকাতার টাউন হলে 200 লোক মিলিত হয়ে বিজয় উৎসব পালন করে এবং ফরাসি বিপ্লবের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা মনুমেন্টের টাঙিয়ে দেয়।

➤ নব্যবঙ্গীয় রসিককৃষ্ণ মল্লিক এর উক্তি - আমি গঙ্গা নদীর পবিত্রতা বিশ্বাস করিনা।

➤ অরিয়েন্টাল ম্যাগাজিন ও সমাচার চন্দ্রিকা পত্রিকায় নব্যবঙ্গ আন্দোলনের ঘোর বিরোধিতা করা হয়।

➤ নব্যবঙ্গীয়রা ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের উদ্দেশ্যে বলতেন 'আমরা গরু খাই গো'। কালীঘাটের মন্দিরের উদ্দেশ্যে বলতেন- 'Good Morning Madam'.

https://thehistoryexploring.blogspot.com/
 ডিরোজিও 


➤ নব্যবঙ্গীয় দের কার্যকলাপে বীতশ্রদ্ধ হিন্দু কলেজ কর্তৃপক্ষ ডিরোজিও কে পদচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেন, এক্ষেত্রে হিন্দু কলেজের পরিচালক সমিতির মধ্যে একমাত্র ডেভিড হেয়ার ও উইলসন ডিরোজিও কে সমর্থন করেন।

➤ ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে ২৬ শে ডিসেম্বর মাত্র ২২ বছর বয়সে কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলার নবজাগরণের এই ঝড়ের পাখি ডিরোজিও দেহত্যাগ করেন। কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের গোরস্থানের বাইরের দিকে তাকে সমাহিত করা হয়।

➤ নব্যবঙ্গীয়রা রামমোহন রায়কে 'অর্ধ উদারপন্থী' বলে আখ্যায়িত করেন।

➤ ডিরোজিওর পর ডেভিড হেয়ার অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি হন। খ্রিস্টান মিশনারী আলেকজান্ডার ডফও ছিলেন নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর সমর্থক।

➤ ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে নব্যবঙ্গীয় সদস্য তারাচাঁদ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে 'সাধারণ জ্ঞানোপার্জজনী সভা স্থাপিত হয়। তিনি 'কুইল' নামক পত্রিকার প্রকাশ করেন।

➤ ১৮৪০- এর দশকে নব্যবঙ্গ দলের শিরোমণি ছিলেন তারাচাঁদ চক্রবর্তী; নব্যবঙ্গ দলকে তখন সেইজন্য 'চক্রবর্তী চক্র' বলে ডাকা হত।

➤ ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে নব্যবঙ্গীয় দের উদ্যোগে কলকাতায় গড়ে ওঠে রাজনৈতিক সংগঠন 'বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি'। 

➤ ৪০- এর দশকে ইয়ংবেঙ্গল আন্দোলনের অবসান ঘটে।

➤ ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় ব্রিটিশ সরকারকে নানাভাবে সাহায্য করে অযোধ্যার তালুকদারি সহ 'রাজা' উপাধি লাভ করেন।

➤ প্যারীচাঁদ মিত্র ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরীর সম্পাদক নিযুক্ত হন।

➤কিশোরীচাঁদ মিত্র নব্যবঙ্গীয়দের কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ার সঙ্গে তুলনা করেন।  কৃষ্ণদাস পাল  তাদের 'দেশের ভবিষ্যৎ আখ্যা দেন। অধ্যাপক সুমিত সরকার তাদের পিতামাতা হীন  পিতা-পুত্র বলেছেন। অনেকে নব্য বঙ্গীয় দের কালাপাহাড় আখ্যা দেন।

Like Our Facebook Page

MALDA,  ENGLISH BAZAR, W.B





Post a Comment

Previous Post Next Post