১. 'মালদহ' শব্দটি এসেছে - 'মাল' অর্থাৎ 'মালপত্র' এবং 'দহ' যার অর্থ 'কাদা' থেকে।
২. মালদহ জেলায় প্রথম ব্যবসা বাণিজ্য করতে এসেছিল অলন্দাজের লোকেরা।
৩. মালদহ ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক জেলা। এই জেলাটি ১৯৪৭ সালে ১৮ই আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে।
৪. মালদহ জেলার আয়তন ৩৪৫৫ বর্গ কিমি।(N.I.C, মালদহ দপ্তর প্রদত্ত তথ্য অনুসারে)
৫. মালদহ জেলায় মোট ১৬ টি থানা রয়েছে এবং ১৫ টি ব্লক রয়েছে।
৬. এই জেলার মহকুমা সংখ্যা ২ টি (মালদহ সদর এবং চাঁচল মহকুমা)।
৭. বর্তমানে তিনটি পৌরসভা রয়েছে (ইংলিশ বাজার ১৮৬৮ এবং ওল্ড মালদা পৌরসভা ১৮৬৯)। এবং নতুন করে চাঁচল পুরসভা
৮. মোট ১২ টি বিধানসভা ও ২ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে।
৯. মোট ১৪৬ টি অঞ্চল ও ৩৪ টি জেলা পরিষদ আসন রয়েছে।
১০. মালদহ জেলার জনসংখ্যা প্রায় ৪০ লক্ষ্য (২০১১ সেন্সাস অনুসারে)।
১১. এই জেলায় মহানন্দা, টাঙ্গন, কালিন্দ্রি নদী রয়েছে।
১২. এই জেলা প্রধানত আমের জন্য বিখ্যাত এবং রেশম ও ধান নির্ভরশীল।(অর্থাৎ কৃষি নির্ভরশীল) ও একটা অংশ পরিযায়ী শ্রমিক, ব্যবসায়ী ।
১৩. এই জেলায় একটিমাত্র মেডিকেল কলেজ রয়েছে - মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল (২০১১)। জনসংখ্যা প্রচুর হওয়ার কারণে এখানে রোগীর চাপ বেশি। এমনকি পাশের জেলা উত্তর দক্ষিন দিনাজপুর থেকেও এই জেলাতে প্রচুর রোগী ট্রিটমেন্টের জন্য আসে।
১৪. একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে - গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (২০০৮)।
১৫. ভ্রমণ স্থানের মধ্যে রয়েছে - গৌড়, আদিনা পান্ডুয়া মসজিদ ইত্যাদি।
১৬. জনসংখ্যায় এক তৃতীয়াংশ কাজের জন্য ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক রূপে যেতে হয় প্রচুর মানুষকে।
১৭. মালদহে প্রথম "মালদহ জেলা ইস্কুল"(১৮৫৮) স্থাপিত হয়।
১৮. এটি একমাত্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (V - Xii)
১৯. এই জেলায় ১ টি মাত্র গ্রন্থাগার রয়েছে - মালদহ জেলা গ্রন্থাগার।
২০. মালদহ জেলার প্রাচীন লোক গানগুলি হল - গম্ভীরা গান, ডোমনী গান, কবিগান গীতি ইত্যাদি।
২১. মালদহে ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (D.S.A) স্থাপিত হয় ১৯৪৫ সালে।
২২. এই জেলায় মোট ৪ টি আউটডোর স্টেডিয়াম ও গ্যালারি রয়েছে -
ক) শহরে D.S.A স্টেডিয়াম।
খ) ঝলঝলিয়ায় লক্ষণ সেন স্টেডিয়াম।
গ) খেজুরিয়াতে N.T.P.C স্টেডিয়াম।
ঘ) বৃন্দাবনে ময়দানে পবিত্র সেন গ্যালারি শপিং কমপ্লেক্স।
২৩. মালদহ শহরের একটি পুরনো ক্লাব - "মালদা ক্লাব"(১৯০২)
২৪. এই জেলার প্রাচীন সুবিখ্যাত মেলা - রামকেলি মেলা। শ্রীচৈতন্যদেবের রামকেলিতে আগমন স্মরণে এই মেলা। শ্রী চৈতন্যদেব মালদহে ১৫১৪ খ্রিস্টাব্দে এসেছিলেন। এই মেলাটি প্রতি বছর জৈষ্ঠ মাসে ৭ দিন ধরে চলে।
২৫. মালদহে প্রথম "দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন পৌরবাজার"(১৯৭৪) স্থাপিত হয়েছিল।
২৬. শহরের অপর আরেকটি পৌরবাজার "নেতাজি পৌরবাজার"(১৯৭৬) স্থাপিত হয়েছিল।
২৭. মালদহ জেলায় প্রথম বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষাদান চালু হয় - মালদা কলেজে (১৯৪৮)।
২৮. এই জেলা থেকে প্রথম:
ক) প্রথম গ্রাজুয়েট - হেমচন্দ্র ঘটক (১৮৮৪)
খ) প্রথম L.M.F ডাক্তার - অন্নদা প্রসন্ন ঘটক (১৮৭৭)
গ) প্রথম মেট্রিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান - বিনয় কুমার সরকার (১৯০১)। তিনি মালদহ জেলায় স্কুলের ছাত্র ছিলেন।
ঘ) প্রথম I.C.S - করুণা কেতন সেন। জন্ম ১৯শে নভেম্বর ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ। Unattached Station এ সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হন ৫-১১-১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে কিন্তু সাত দিনের মধ্যেই ১৩-১১-১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি এই কাজ থেকে ইস্তফা দেন।এর পর তিনি রংপুরে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর পদে নিযুক্ত হন ২০-১১-১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে।
ঙ) প্রথম সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি শান্তি রঞ্জন দাস।
চ) প্রথম I.A.S - জিতেন্দ্রনাথ পোদ্দার।
ছ) প্রথম I.P.S - কমলেশ রায়।
জ) প্রথম W.B.C.S - প্রশান্ত ভট্টাচার্য (১৯৭০)
ঝ) প্রথম রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপক - বলাই চন্দ্র বোস।
ঞ) প্রথম ডক্টরেট -মহামনীষী বিনয় কুমার সরকার।
ট) প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী - A.B.A. GHANI KHAN CHAUDHARY.(১৯৮০)(কয়লা ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী ও রেলমন্ত্রী) (তাকে আধুনিক মালদার রূপকার ও কোতুয়ালীর নবাব ও বলা হয়)
২৯. মালদহ শহরের মুসলিম ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয় ১৯৩৭ সালে।
৩০. মালদহ টাউন রেল স্টেশন চালু হয় - ১৯৫৯ সালে।
৩১. প্রথম বইমেলা শুরু হয়েছিল ১৯৮২ সালে।
৩২. জেলায় ১১ টি হাসপাতাল আছে।
৩৩. এই জেলার গর্ব:
ক) আচার্য বিনয় কুমার সরকার।
খ) সাহিত্যিক শিবরাম চক্রবর্তী।
গ) অধ্যক্ষ দুর্গাকিংকর ভট্টাচার্য।
ঘ) A.B.A GHANI KHAN CHAUDHARY॥
বি:দ্র: - ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
Post a Comment