প্রথম যুগের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
কলকাতা মাদ্রাসা
আরবি, ফারসি ভাষার চর্চা এবং মুসলিম আইন চর্চার উদ্দেশ্যে কলকাতায় ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
ওয়ারেন হেস্টিংস এর ফারসি ভাষার গৃহ শিক্ষক ছিলেন মুন্সি নব কৃষ্ণ যিনি পরবর্তীকালে মহারাজা নব কৃষ্ণ নামে পরিচিত হন।
মুন্সি রাজনারায়ণ (মাইকেল মধুসূদন দত্তের পিতা) তিনি ছিলেন ফারসি ভাষায় খ্যাতনামা পণ্ডিত।
এশিয়াটিক সোসাইটি
প্রাচ্যবিদ্যার গবেষণার উদ্দেশ্যে স্যার উইলিয়াম জোন্স ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।
বারানসি সংস্কৃত কলেজ
সংস্কৃত শিক্ষার চর্চা ও উন্নতির উদ্দেশ্যে বারানসিতে ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে জোনাথন ডানকান বারানসি সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
ভারতে আগত ব্রিটিশ সিভিলিয়ানদের ভারতীয় ভাষা, সংস্কৃতি ও আইনের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে লর্ড ওয়েলেসলি, কলকাতায় ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
এই কলেজের অধ্যাপক ছিলেন উইলিয়াম কেরি ও মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালয়ংকার। পন্ডিত এইচ কলব্রুক, জন গিলক্রিস্ট, রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ, শ্রীহরি বিদ্যারত্ন প্রমুখ।
ব্রিটিশ কর্মচারীদের বাংলা ভাষা শিক্ষার জন্য বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেডের গ্রন্থটির নাম এ গ্রামার অফ দি বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ। এই গ্রন্থটি হুগলির জন এন্ড্রোজ এর ছাপাখানা থেকে ছাপা হয়।
চার্লস উইলকিন্স প্রথম বাংলা ভাষার ছাপার হরফ তৈরি করেন।
বেসরকারি উদ্যোগে শিক্ষা বিস্তার
১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে অবজারভেশন নামক পুস্তিকা প্রকাশের মাধ্যমে চার্লস গ্রান্ট সর্বপ্রথম ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের কথা বলেন।
স্কটিশ মিশনারি হেনরি ডামন্ড এর ধর্মতলা একাডেমীর ছাত্র ছিলেন- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও
ভারতে বেসরকারি উদ্যোগে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের লক্ষে রামনারায়ণ মিশ্র সর্বপ্রথম ভারতে একটি ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ৪ জুলাই ডেভিড হেয়ারের ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজি ভাষার পাঠ্যপুস্তক রচনা ও তা বিতরন করা। ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে ১লা সেপ্টেম্বর তিনি ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও দরিদ্র মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি দানের জন্য স্কুল সোসাইটি নামক সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন
স্কুল বুক সোসাইটি ও স্কুল সোসাইটি এর সাথে যুক্ত ছিলেন রাধাকান্ত দেব। তিনি ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক।
বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা কিছু পাশ্চাত্য শিক্ষা কেন্দ্র:
১৮১৬ - অ্যাংলো হিন্দু স্কুল - রাজা রামমোহন রায়।
১৮১৭ - হিন্দু কলেজ - ডেভিড হেয়ার, এডওয়ার্ড হাইট ইস্ট, রাধাকান্ত দেব। এর পরবর্তী নাম প্রেসিডেন্সি কলেজ(১৮৫৫) প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়(২০১০)।
১৮১৭ - পটলডাঙ্গা একাডেমি - ডেভিড হেয়ার। পরবর্তী নাম হেয়ার স্কুল(১৮৬৭)।
১৮১৭ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি - ডেভিড হেয়ার।
১৮১৮ - ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি - ডেভিড হেয়ার ও রাধাকান্ত দেব।
১৮২৮ - ওরিয়েন্টাল সেমিনারি - গৌর মোহন আঢ্য।
১৮২৮ - ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল - মিস কুক।
জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন - ১৮৩০ - এর পরবর্তী নাম হয় স্কটিশ চার্চ কলেজ (১৯০৮)।
১৮৪৯ - হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় - ড্রিংক ওয়াটার বেথুন পরবর্তীতে এর নাম হয়ে বেথুন স্কুল। এটি ছিল এশিয়ার মধ্যে প্রথম মহিলাদের স্কুল।
১৮৫৩ - হিন্দু মেট্রোপলিটন কলেজ - রাধাকান্ত দেব।
১৮৭১ - নেটিভ লেডিস নর্মাল স্কুল - কেশবচন্দ্র সেন। এর পরবর্তীতে নাম হয় ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন (১৯৩২)।
১৮৭২ - মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। পরবর্তী নাম বিদ্যাসাগর কলেজ (১৯১৭)।
১৮৮৪ - রিপন কলেজ - সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তীতে নাম হয় সুরেন্দ্রনাথ কলেজ(১৯৪৮-৪৯)।
খ্রিস্টান মিশনারীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
খ্রিস্টান মিশনারীদের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য ছিল ভারতবর্ষে খ্রিস্ট ধর্মের প্রচার করা। এই কারণেই তারা ভারতবর্ষে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার শুরু করেন।
ভারতে ইংরেজি শিক্ষা বিস্তারে পথিকৃৎ বলা হয় উইলিয়াম কেরিকে।
শ্রীরামপুর ত্রয়ী - উইলিয়াম কেরি, মার্সম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ড এই তিনজনকে একত্রে শ্রীরামপুর ত্রয়ী বলা হয়। এরা ছিল ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি। শ্রীরামপুর প্রেস থেকে সর্বপ্রথম বাংলা ও অন্যান্য ২৬ টি ভারতীয় ভাষায় বাইবেল অনুবাদ প্রকাশিত হয়।
উইলিয়াম কেরি - ইতিহাসমালা, রামায়ণের ইংরেজি অনুবাদ (১৮০৬)।
আলেকজান্ডার ডাফ - স্কটিশ মিশনারী, জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ। ১৮৩০ থেকে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ সময়কাল ডাফের যুগ নামে পরিচিত ছিল। স্কটিশ চার্চ কলেজের দুজন কৃতি ছাত্র হলেন - সুভাষচন্দ্র বসু ও শিশিরকুমার ভাদুড়ি।
এন্ড্রু বেল আবিষ্কৃত বেল পদ্ধতি অনুসারে রবার্ট মেয়ে চুঁচুড়ায় একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন।
সরকারি উদ্যোগে শিক্ষা ব্যবস্থা
১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিকেল কলেজ লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং এর সময় স্থাপিত হয়।
বোম্বাইয়ে স্থাপিত হয় এলফিন স্টোন ইনস্টিটিউশন
১৮৩৫, থমসন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, রুর্কি। প্রতিষ্ঠাতা- উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক।
১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে ঘোষণা করা হয় প্রতি বছর শিক্ষা খাতে এক লক্ষ টাকা করে ব্যয় করা হবে।
১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন বা জনশিক্ষা কমিটি গঠিত হয়।
১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে জনশিক্ষা কমিটি কলকাতা একটি সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে ১লা জানুয়ারি লর্ড আর্মহাস্ট সরকারি উদ্যোগে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ স্থাপন করেন।
১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের জন্য লর্ড আর্মহাস্ট কে চিঠি লেখেন রাজা রামমোহন রায়।
১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে লর্ড বেন্টিং এর আইন সচিব বিখ্যাত ইংরেজ বুদ্ধিজীবী টমাস ব্যাবিংটন মেকলে শিক্ষার খাতে একটি মিনিট পেশ করেন যা মেকলে মিনিট নামে পরিচিত।
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদী বিতর্ক
প্রাচ্যবাদী বা ওরিয়েন্টালিস্ট:
প্রিন্সেপ, কলব্রুক, উইলসন, গিলক্রিস্ট,
পাশ্চাত্যবাদী :
চার্লস গ্রান্ট, জনশোর, উইলিয়াম উইলবার ফোর্স, জেমস মিল, আলেকজান্ডার ডাফ, সানডার্স, কোলভিন, মেকলে, রামমোহন রায়, দ্বারকানাথ ঠাকুর।
ইভানজেলিক্যাল আন্দোলন - প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্কের অপর নাম।
অকল্যান্ড মিনিটের মাধ্যমে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্কের অবসান ঘটে ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে।
চুঁইয়ে পড়া তত্ত্ব বা ফিল্ট্রেশন থিওরি বা নিম্নমুখী পরিশ্রুত নীতি।
১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে ৭ ই মার্চ বেন্টিং ইংরেজি শিক্ষাকে সরকারি নীতি হিসেবে ঘোষণা করে।
১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে কাউন্সিল অফ এডুকেশন গঠিত হয় এবং জনশিক্ষা কমিটি বিলুপ্ত হয়।
১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে লর্ড হার্ডিঞ্জ এডুকেশনাল ডেসপ্যাচ এর মাধ্যমে সরকারি চাকরি প্রার্থীদের ইংরেজি ভাষা জ্ঞান আবশ্যিক বলে ঘোষণা করেন এবং ইংরেজি কে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলাহয়।
উডের প্রতিবেদন বা উডের ডেসপ্যাচ ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে ১৯ শে জুলাই ।
উডের প্রতিবেদন অনুসারে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা(২৪ জানুয়ারী, ১৮৫৭), বোম্বাই (১৮ জুলাই ১৮৫৭) ও মাদ্রাজের(৫ সেপ্টেম্বর ১৮৫৭) তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়।
১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সরকারি শিক্ষা দপ্তর খোলা হয় (ডিরেক্টরেট অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন)
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য - স্যার জেমস উইলিয়াম কোলভিন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য - লর্ড ক্যানিং
১৮৮২ খ্রিস্টাব্দ হান্টার কমিশন এর সুপারিশ অনুযায়ী ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবের লাহোরে এবং ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
১৯২১ খ্রিস্টাব্দে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯১০ খ্রিস্টাব্দে কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়( ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন)
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে মন্টফোর্ড আইন দ্বারা শিক্ষা বিভাগকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাত থেকে প্রাদেশিক বা রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
নারী শিক্ষা
স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারে ক্ষেত্রে রামমোহন রায়, রাধাকান্ত দেব, ডেভিড হেয়ার, বিদ্যাসাগর প্রমুখ ব্যক্তি উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে নারীদের জন্য ফিমেল জুভেনাইল সোসাইটি গঠিত হয়।
নারীদের শিক্ষায় উৎসাহ দেয়ার জন্য গৌর মোহন বিদ্যালঙ্কার এর একটি গ্রন্থ রচনা করেন যার নাম স্ত্রী শিক্ষা বিধায়ক।
ভারতবর্ষে নারী শিক্ষা বিস্তারে সর্বপ্রথম উদ্যোগী হয়েছিলেন খ্রিস্টান মিশনারীরা।
রেভারেন্ড মে বাংলায় মেয়েদের জন্য প্রথম স্কুল স্থাপন করেন।
সেন্ট্রাল ফিমেল স্কুল ১৮২৬ ৮ই মে। বড়লাট আমহাস্টের পত্নী লেডি আমহার্স্ট।
নব্য বঙ্গ দলের তিনজন সদস্য যথা কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং পন্ডিত ভূদেব মুখোপাধ্যায় স্ত্রী শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে ড্রিংক ওয়াটার বেথুনের সহযোগিতায় পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় (যা পরে বেথুন স্কুল) স্থাপন করেন। বিদ্যাসাগর এই বিদ্যালয়ের প্রথম সম্পাদক ছিলেন। দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় বেথুন স্কুলের জন্য জমি প্রদান করেছিলেন।
১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মেদিনীপুরে বীরসিংহ গ্রামে মা ভগবতী দেবীর স্মৃতিতে ভগবতী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ছিল তার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রচেষ্টা।
নারী শিক্ষা প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর জন্য কেশব চন্দ্র সেন বামাবোধিনী ও ইন্ডিয়ান মিরর পত্রিকা প্রকাশ করেন।
১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে মহিলারা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দানের সুযোগ পায়।
১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার দুই মহিলা চন্দ্রমুখী বসু ও কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম বি.এ ডিগ্রি লাভ করে।
১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে জ্যোতিবা ফুলে পুনায় বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করে।
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে মহারাষ্ট্রের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক আচার্য ধন্দ কেশব কার্ভের উদ্যোগে পুনায় শ্রীমতি নাথিবাঈ দামোদর থ্যাকারসে মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়' নামে ভারতের প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন। এর প্রথম আচার্য ছিলেন রামকৃষ্ণ গোপাল ভান্ডারকর।
শ্রীমতী অ্যানি বেসান্ত ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দ বারাণসীতে সেন্ট্রাল হিন্দু স্কুল, পরবর্তীতে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে মদন মোহন মালব্য এই প্রতিষ্ঠানটিকে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করেন।
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে মহিলাদের জন্য দিল্লিতে লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতা কলকাতার বাগবাজার অঞ্চলে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে সিস্টার নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয় নামে পরিচিত।
Post a Comment