🔷১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপে পরিবর্তন বিরোধী ধারা বা ঐতিহ্যবাহী ধারা এবং পরিবর্তনের ধারা গুলি কি ছিল?

 👉১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপে পরিবর্তন বিরোধী ধারা গুলি ছিল - এক) স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র,  দুই) অভিজাতন্ত্র ও তিন) ক্যাথলিক চার্জ। 

পরিবর্তনের ধারা গুলি ছিল - ১) জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ন,  ২) উদারতন্ত্র ও গণতন্ত্রবাদ, ৩) জাতীয়তাবাদ এবং ৪) সমাজতন্ত্রবাদ। 



🔷ভিয়েনা সম্মেলন কবে কোথায় বসেছিল? এই কংগ্রেসের বৃহৎ চারশক্তি কারা ছিল?

 👉ভিয়েনা সম্মেলন ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরের অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা শহরে বসে ছিল। এই সম্মেলনে চার বৃহৎ শক্তি ছিল অস্ট্রয়া, রাশিয়া, প্রাশিয়া ও ইংল্যান্ড। এই চারটি দেশ ভিয়েনা বৈঠকের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করেছিল বলে এদের একত্রে বলা হয় Big Four.


🔷ভিয়েনা বৈঠকের (১৮১৪-১৫)  উদ্দেশ্য কি ছিল? 

👉ভিয়েনা বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল-  এক) নেপোলিয়নের আগ্রাসনের ফলে ইউরোপের পরিবর্তিত রাজনৈতিক কাঠামোর পুনর্গঠন। দুই) প্রাক বিপ্লব যুগের রাজনৈতিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা।  তিন) ইউরোপের শান্তি বজায় রাখা। এবং  চার) নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। 

🔷 What was the main objectives of the Vienna Conference (1814-15)?

👉 The main objectives of the Vienna Conference were- i) Reorganization of the political structure of Europe after the Napoleonic invasion. 2) Bringing back the pre-revolutionary political situation. 3) To maintain the peace of Europe. and four) to provide reparations to the states that had suffered in the war against Napoleon.


🔷ভিয়েনা বৈঠকে উপস্থিত চার প্রধান ব্যক্তিত্ব কারা ছিলেন?এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কে?

👉ভিয়েনা বৈঠকে উপস্থিত চার প্রধান ব্যক্তিত্বের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন - ১) অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী মেটারনিক। ২) রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডার। ৩) ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাসালরি এবং ৪) পরাজিত ফ্রান্সের প্রতিনিধি তালেরাঁ। 

মেটারনিক ছিলেন ভিয়েনা সম্মেলনের সভাপতি। 



🔷ভিয়েনা কংগ্রেসে অনুসৃত প্রধান তিনটি নীতি কি ছিল?

 👉ভিয়েনা কংগ্রেসে অনুসৃত প্রধান তিনটি নীতি হলো- 

১) ন্যায্য অধিকার নীতি।  

২) ক্ষতিপূরণ  নীতি এবং 

৩) শক্তি সাম্য  নীতি। 


🔷ন্যায্য অধিকার নীতি বা বৈধ সত্বাধিকার নীতি বলতে কী বোঝায়? 

👉ন্যায্য অধিকার-নীতির মূল কথা হলো - ফরাসি বিপ্লবের আগে যে রাজা বা রাজবংশ যেখানে রাজত্ব করতেন সেখানে তাকে বা সেই রাজবংশ কে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করা। এই নীতির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইউরোপে প্রাক বিপ্লব যুগের অবস্থার পুনঃ প্রতিষ্ঠা। 



🔷ন্যায্য অধিকার বা বৈধ সত্বাধিকার নীতি কতখানি বৈধ ছিল?

 👉বৈধ স্বত্বাধিকার নীতি পুরোপুরি বৈধ ছিল না তার কারণ-   ১) পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য যা ছিল সবচেয়ে বৈধ। তার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঘটেনি 

২) নেপোলিয়ন সৃষ্ট রাইন রাজ্য সংঘ যা ছিল অবৈধ তা ভেঙে দেওয়া হয়নি। 

৩) ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে ভেনিসে যে প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান ছিল তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।



 🔷শক্তি সামনের নীতির মূল কথা কি ছিল? 

👉শক্তি-সাম্ম নীতির মূল কথা হলো - ফ্রান্স যাতে ভবিষ্যতে শক্তিশালী হয়ে উঠে ইউরোপের শক্তি বিঘ্নিত করতে না পারে এবং বিজয়ী বৃহৎ শক্তি গুলির মধ্যে ক্ষমতার সমতা বজায় থাকে তার ব্যবস্থা করা। এই উদ্দেশ্যে ফ্রান্সকে তার বিপ্লব পূর্ব সীমারেখায় ফিরে যেতে বাধ্য করা হয় এবং তার চারিদিকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়।



 🔷ভিয়েনা কংগ্রেসে পোল্যান্ড সম্পর্কে কি নীতি গ্রহণ করা হয়?

👉 ভিয়েনা কংগ্রেসের নেতারা পোল্যান্ডের জাতীয় ঐক্যের আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে পোল্যান্ডের চতুর্থ ব্যবচ্ছেদ ঘটান। গ্রান্ড ডাচি অব ওয়ারশ-র (পোল্যান্ড) উত্তর-পশ্চিম অংশ পেল প্রাশিয়া, পশ্চিম গ্যালেসিয়া পেল অস্ট্রিয়া এবং বাকি অংশ দেওয়া হলো রাশিয়াকে



🔷ভিয়েনা বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ বা সমালোচনা গুলি কি ছিল? 

👉ভিয়েনা বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ গুলি হল - এক) ভিয়েনা সম্মেলন কোন সম্মেলন ই ছিল না, সবকিছুই বিগ ফোর নিয়ন্ত্রণ করেছিল। 

দুই) ফরাসি বিপ্লব প্রসূত গণতন্ত্র, উদারতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ প্রভৃতি যুগধর্মকে ভিয়েনার নেতারা উপেক্ষা করেন। 

তিন) প্রতিক্রিয়াশীল নীতি অনুসরণ করে তারা নিজ নিজ স্বার্থসিদ্ধি করেন এবং 

চার) ভিয়েনা বন্দোবস্তকে স্থায়িত্ব দিতে তাঁরা ব্যর্থ হন।




Post a Comment

Previous Post Next Post