Q. জ্যোতির্বিজ্ঞানশাস্ত্রে স্যার আইজ্যাক নিউটনের অবদান কি?

স্যার আইজ্যাক নিউটন (1643-1727 খ্রিস্টান্স): 

আইজ্যাক নিউটন ছিলেন একজন ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, প্রাকৃতিক দার্শনিক, অ্যালকেমিস্ট এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানী। 1643 খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের লিংকনশায়ারের উল্সথর্প ম্যানরে এক সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন আইজ্যাক নিউটন এবং মাতা ছিলেন হানাহ এইসকফ।


প্রথম জীবন: 

তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা হয় গ্রামেরই একটি স্কুলে। তারপর 12 বছর বয়সে তিনি গ্রাম্মামের ব্যাকরণ স্কুলে ভরতি হন। ছাত্রাবস্থাতেই তাঁর মেধার পরিচয় পাওয়া যায়। 1661 খ্রিস্টাব্দে তিনি ট্রিনিটি কলেজ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এরপর তিনি ট্রিনিটি কলেজে গণিতের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন।


কর্মজীবন: 

1668 খ্রিস্টাব্দে নিউটন একটি প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করে সাড়া ফেলে দেন। 1671 খ্রিস্টাব্দে তিনি আর একটি দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিকে উপহার দেন। 1687 খ্রিস্টাব্দে তিনি ম্যাথামেটিকাল প্রিন্সিপিলস্ অব ন্যাচরালি ফিলোসফি নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এই গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান। এই গ্রন্থটিকে বলা হয় 'আধুনিক বিজ্ঞানের বাইবেল'।


অভিকর্ষ সূত্র আবিষ্কার: 

  1. নিউটন বলবিজ্ঞান, বিশেষত মহাকর্ষ ও গ্রহসমূহের ওপর এর প্রভাব বিষয়ে নিজস্ব মতামত দ্য মটু করপোরাম (1684 খ্রিস্টাব্দ)-এ প্রকাশ করেন। 
  2. 1687 খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রিন্সিপিয়া (ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা) গ্রন্থে গতির তিনটি মৌলিক সূত্র তুলে ধরেন। 
  3. তিনি বস্তুসমূহের মধ্যবর্তী বলকে গ্রাভিটিস (লাতিন শব্দ) বলে উল্লেখ করেন। যা পরবর্তী সময়ে মহাকর্ষ বল (Gravitational force) নামে খ্যাতি লাভ করে। 
  4. তিনি বলেন যে, মহাকর্ষ বলের টানেই বিশ্বব্রহ্মান্ডের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে আকর্ষণ করে। ফলে পৃথিবী থেকে শুরু করে সমস্ত গ্রহ, উপগ্রহ ও নক্ষত্র তাদের কক্ষপথ থেকে ছিটকে যায় না। অনুরূপভাবে পৃথিবী তার নিজস্ব ঘূর্ণনকালে তার মধ্যে অবস্থিত সবকিছু ছিটকে বেরিয়ে যায় না। 
  5. তিনি আরও বলেন যে, পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের আকর্ষণেই বা টানে পৃথিবীর উপর দিকে নিক্ষিপ্ত সমস্ত বস্তু পুনরায় ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। 
 _______________

Post a Comment

Previous Post Next Post