M.A 1st sem, History
University of Gour Banga
অহমদের রাজত্বকালে জনগণের উৎপিরণমূলক একপ্রথা প্রচলিত ছিল এটি পাইক প্রথা নামে পরিচিত ছিল। পূর্বে মূলত এই প্রথাটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে প্রচলিত ছিল। আহোমরা ১২২৮ খ্রীষ্টাব্দে অসমে আসার পরে এই প্রথা এখানে প্রচলন করেন। এই প্রথাটিকে ১৬০৯ খ্রীষ্টাব্দে মোমাই তামূলী বরবড়ুয়া কিছুপরিবর্তন করে নতুনভাবে প্রচলন করেন।
সাধারণত অসমের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদেরকে কিছু পদে বিভক্ত করা হয়েছিল। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল নৌকা তৈরি করা, নৌকা সজা, গৃহ নির্মাণ করা, রসদ যোগান দেওয়া, আলি-পদূলি নির্মাণ করা, রাজস্ব তোলা, হাতী ধরা, শেন চাওয়া, হাবি-বন পরিদর্শন করা ইত্যাদি বিভিন্ন কর্ম। এই পদগুলির মধ্যে উচ্চ স্থান ছিল ফুকন, বড়ুয়া, রাজখোয়া প্রভৃতির।
আহোম রাজ্যের রাজবংশীয় লোক, পুরোহিত, উচ্চ বর্গের জাতি অথবা দাসদের বাদ দিয়ে পনেরো থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী সকল পুরুষকে পাইক বলা হত। স্বর্গদেউ রুদ্র সিংহের সময়ে প্রায় ১৭১৪ খ্রীষ্টাব্দে অহমের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০% শতাংশ লোক এই পাইক শ্রেণীর অন্তর্গত। ঐতিহাসিকরা মনে করেন যে, এই পাইক প্রথাই আহোমদের পতনের মূল কারণ ছিল।
🌿
[অন্যান্য নোটস এর জন্য নিচে কমেন্ট করো ]
Post a Comment