দিগন্তের প্রসার
আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভব:
📌 আর্য ভট্ট (প্রাচীন ভারতের গণিতজ্ঞ, গুপ্ত যুগ) - আর্য ভোট্টীয় গ্রন্থ (পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা রয়েছে)।
📌প্রাচীন ভারতের কয়েকজন গণিতজ্ঞ হলেন- বরাহমিহির, ব্রহ্মগুপ্ত, মহাবীর, শ্রীধর, মঞ্জুল, দ্বিতীয় আর্য ভট্ট।
📌অ্যারিস্টোটল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের গঠন এর উপাদান হিসেবে বলেছেন - ক্ষিতি, অপ্, তেজ এবং মুরুৎ এই চারটি উপাদান।
📌 অ্যালকেমি বা অপোরসায়নবিদ্যা:- প্রাচীনকাল থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত সময়ে যুক্তি ও আধুনিক বিজ্ঞান নির্ভরতাহীন যে রসায়নবিদ্যার চর্চা ইউরোপে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল তা অপরসায়নবিদ্যা বা অ্যালকেমি নামে পরিচিত।
📌 ইউরোপের কয়েকজন উল্লেখযোগ্য অপরসায়নবিদ হলেন- মোঃ উমেইল আল তামিনি, বেঞ্জামিন মুসাফিয়া, হারমস ট্রিসমেজিস্টাস, কর্নেলিয়াস অ্যাগ্রিপ্পা,প্যারাসেলসাস, আলবার্ট ম্যাগনাস।
📌 অপরসায়নবিদ্যার চর্চার সূত্রপাত হয় প্রাচীন মিশরে।
📌সর্বপ্রাণবাদ:- সর্বপ্রাণবাদীরা মনে করেন পৃথিবীর সমস্ত বস্তুর মধ্যেই প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। এই মতবাদ জৈন ধর্মে বিশেষভাবে প্রচলিত।
📌 প্রাক বিজ্ঞান বা প্রোটো সায়েন্স বলা হয় যাদুবিদ্যাকে।
📌 আধুনিক বিজ্ঞানের বিক্ষণগার বলা হয় অপরসায়নবিদ্যা কে।
📌 অপরসায়নবিদরাই সর্বপ্রথম বারুদ ধাতুবিদ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন কৌশল আবিষ্কার করেন। অপ রসায়নবিদ প্যারাসেলসাস দস্তা নামে ধাতব মৌলের আবিষ্কার করেন।
📌 তামা ও দস্তার আকরিক ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার কৌশল আবিষ্কার হয় জার্মানিতে।
📌ধাতু বিগলন বিষয়ে গ্রন্থ 'De re metallica' নামক গ্রন্থ রচনা করেন জর্জ এগ্রিকোলা। এই গ্রন্থে রুপোর সঙ্গে পারদের সংমিশ্রণ এবং সোনা গলানোর কৌশল সম্পর্কে আবিষ্কারের বিষয় রচনা করা হয়।
📌 আধুনিক পরমানুবাদের জনক - জন ডালটন। তিনি পরমাণুর গঠন সম্পর্কে আধুনিক তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
📌 হামফ্রে ডেভি ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে সোডিয়াম পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম মৌল আবিষ্কার করেন এবং যাবতীয় মৌলিক পদার্থ কে ধাতু ও অধাতু এই দুই ভাগে ভাগ করেন।
📌 অটো ভন গিরিক - ভ্যাকুয়াম পাম্প আবিষ্কার করেন।
📌ধাতুকে উত্তপ্ত করলে ধাতুর ওজন বাড়ে এই তত্ত্বের প্রবর্তক মেয়ো। তিনি এর নাম দেন নাইট্রো এরিয়াল স্পিরিট।
📌অক্সিজেন গ্যাস আবিষ্কার করেন - প্রিস্টলি।
📌 1774 খ্রিস্টাব্দে জলের উপর কিভাবে গ্যাস সংগ্রহ করতে হয় এবং কিভাবে গ্যাসের আয়তন মাপা যায় তা প্রমাণ করেন স্টিফেন হেলস।
📌পারদের ওপর গ্যাস সংগ্রহের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন- প্রিস্টলি ও ক্যাভেন্ডিশ।
📌 দহনের জন্য অক্সিজেন গ্যাসের প্রয়োজন হয় তা প্রমাণ করেন - ল্যাভয়েসিয়ার। অক্সিজেনের সঙ্গে হাইড্রোজেন গ্যাস যুক্ত হয়ে জল উৎপন্ন হয় এটিও তিনি প্রমাণ করেন।
📌 ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে ক্লোরিন আবিষ্কার করেন শেইল।
📌 ক্লোরিনের বিরঞ্জন ক্ষমতা প্রমাণ করেন- বের্তোলে (১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে)।
📌 অনুর ধারণা দেন - অ্যাভোগ্যাড্রো।
📌 জার্মান বিজ্ঞানী পার্কিন ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে কৃত্রিম রঞ্জক পদার্থ মেজেন্টা আবিষ্কার করেন।
📌 কে প্রমাণ করেন যে জীবিত দেহ আগুনের মতোই আচরণ করে, তা খাদ্যবস্তুকে দহন করে এবং দহনজাত শক্তিকে তাপরূপে ত্যাগ করে- ল্যাভয়েসিয়ার।
📌কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের মৌল পৃথক করার রাসায়নিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন- জোশেফ ব্ল্যাক (১৭৫৪ খ্রিস্টাব্দ)।
=====সমাপ্ত=====
🔶🔷=====🔷🔶
Post a Comment